আমাদের জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক ধরণের কাজে কাঠের ব্যবহার অপরিসীম। শৌখিন মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে কাঠ জাতীয় পণ্য। খুঁটিনাটি থেকে যে সমস্ত কাঠের পণ্য বিক্রি করা হয়। সেগুলো কারখানায় কিভাবে তৈরি করা হয় সেটা আজকে আপনাদের জানাবো
প্রথমে আমাদের উদ্যোক্তা ভাইয়েরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাছ কিনে থাকেন। তারপর সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে এসে মিলে জমা করে রাখেন।
মিল থেকে সেই গাছগুলো পণ্যর ধরণ অনুযায়ী ছোট ছোট টুকরা করে নিয়ে আসেন। এই গাছের টুকরা গুলোকে ভালো ভাবে রোদে শুকিয়ে নেন।
তারপর সেই শুকনো কাঠের টুকরা গুলো অভিজ্ঞ কারিগরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর এই কাঠের টুকরো গুলো দিয়ে তৈরি হবে আপনার কাঙ্খিত পণ্যগুলো।
কারিগর ভাইয়েরা তাদের আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করছে আপনার অর্ডারকৃত ডিজাইন। তাদের কাজের দক্ষতা গুলো ফুটে উঠছে তাদের সামনে রাখা কমপ্লিট হওয়া পণ্যগুলো মাঝে।
যে হামান দিস্তাগুলো দেখছেন সেগুলো তৈরি করেছেন আমাদের এই কারিগর ভাইটি। এই পণ্যগুলো দেশের বাহিরে এক্সপোর্ট করা হবে
পণ্যগুলো ডিজাইন অনুযায়ী মেশিনে সাইজ করার পর কিছু অতিরিক্ত অংশ থেকে যায় সেগুলো কেটে ফেলছেন আমাদের এই ভাই। এখন পণ্যটি সম্পূর্ণ নিখুঁত হয়ে যাবে।
যে কাঠের টুকরা গুলো ভালো ভাবে রোদে শুকানো হয়নি। কাঠের স্তূপের মধ্যে নিচে পরে গিয়েছিলো। সেই সমস্ত কাঠের টুকরো দিয়ে যে পণ্যগুলো বানানো হয়েছে সেগুলো একটু ভেজা ভেজা ভাব থাকে। বানানো হয়েছে কিন্তু পণ্যগুলোর মধ্যে একটু ভেজা ভেজা ভাব রয়েছে এমন পণ্যগুলোকে আবার রোদে শুকানো হয়।
সম্পূর্ণ পণ্যগুলোকে স্টোরে সাজিয়ে রাখা হয়। কাস্টমারের অর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া জন্য এখান থেকে প্যাকেজিং করা হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডারকৃত পণ্যগুলো ডেলিভারির উদ্দেশ্য প্যাকেজিং করা হয়েছে। এখন কোরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পণ্যগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে দেওয়া হবে।
আমরা খুঁটিনাটি থেকে সবসময় আমাদের উদ্যোক্তা ভাইদের খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন খুঁটিনাটির চিপ অপারেটিং অফিসার সুফিয়া হাসান কে। তিনি কারিগর ভাইদের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।